হোয়াটসঅ্যাপের সিইও নীরজ অরোরার পদ ত্যাগ

  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:40 AM, 04 December 2018

পদত্যাগ করলেন হোয়াসঅ্যাপের সিইও নীরজ অরোরা। মাস কয়েক আগেই হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই যুবক। তার পরেই আজ, বুধবার পদত্যাগ করেন নীরজ। শুধু সিইও হিসেবে পদত্যাগই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ার কারণ হিসেবে নীরজ জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে এবং পরিবারকে আরও বেশি করে সময় দিতে চান।তবে সিইও হওয়ার আগেও এই সংস্থায় নীরজের অবদান কম ছিল না। ২০১১ সাল থেকে, সাত বছর ধরে এই হোয়াটসঅ্যাপেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন ৩৯ বছরের নীরজ।

নীরজের আগে সিইও পদের দায়িত্বে ছিলেন জ্যান কোওম। চলতি বছরের মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে তাঁর নিজস্ব সংস্থা শুরু করেন জ্যাক। তার পর থেকে ফাঁকাই ছিল সিইও-র পদ। জ্যাকের সঙ্গেই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়েছিলেন আর এক সংস্থা-কর্তা ব্রায়ান অ্যাক্টনও। তার পরেই মে মাসে সিইও হন নীরজ। গুগলের সুন্দর পিচাই এবং মাইক্রোসফটের সত্য নাদেল্লার পর তিনি তৃতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন, যিনি একটি বড় মাপের ইন্টারনেট সংস্থার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়ে নীরজ অরোরা বলেন, “সাত বছর হয়ে গেল এই সংস্থায় কাজ করার, বিশ্বাস করতে পারছি না। জ্যাক ও ব্রায়ানের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আমায় এতগুলো বছর ধরে এখানে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমার সরার সময় হয়েছে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ আমায় এত বছরে যা শিখিয়েছে, আমি কখনও ভুলতে পারব না।”

হোয়াটস অ্যাপের বেশ কিছু বড় পরিবর্তন নীরজ নিজের হাতেই করেছেন। সূত্রের খবর, সংস্থার মালিক মার্ক জুকারবার্গ অত্যন্ত খুশি নীরজের কাজে। নীরজ এর আগে গুগলে এবং পেটিএমে-ও কাজ করেছেন। দিল্লির বাসিন্দা নীরজ ২০০০ সালে আইআইটি–দিল্লি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৬ সালে তিনি এমবিএ পাশ করেন।

“আমি থাকি বা না থাকি, হোয়াটসঅ্যাপ এরকমই সহজ, নিরাপদ এবং বিশ্বাসযোগ্য যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করে নেবে, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।”– বলেন নীরজ।

প্রিয় পাঠক, আপনিও আওয়ার বাংলা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। আইটি বিশ্বের যাবতীয় খবর, প্রযুক্তি ভাবনা ও উদ্ভাবন, গবেষণা, আপনার প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ অথবা ভার্সিটির যেকোন প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালা ও খবরাখবর নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশিত হবে।

আপনার মতামত লিখুন :