বেতন নেই লাখো মার্কিনির, জরুরি অবস্থার হুমকি ট্রাম্পের

  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:15 PM, 11 January 2019

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন না পেলে তহবিল বরাদ্দে ফের জরুরি অবস্থা জারির হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শন করেন ট্রাম্প। সেসময় তিনি বলেন, ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পুরোপুরি এখতিয়ার আমার।’

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে বরাদ্দ অনুমোদনে ট্রাম্পের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের সমঝোতা না হওয়ায় ২০ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে চলছে আংশিক শাটডাউন।

মেক্সিকো দেয়াল নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ২২ ডিসেম্বর থেকে মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের অসংখ্য বিভাগ ও সংস্থায় অচলাবস্থা দেখা দেয়। ২০ দিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না লাখ লাখ মার্কিনি। প্রায় ৮ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা বেতন ছাড়াই আছেন।

দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া না হলে ট্রাম্প কোনো অর্থবিলে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়েছেন, এবং তাই করছেন তিনি। ফলে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের ব্যয় নির্বাহে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের বিল আলোর মুখ দেখেনি। আর এতেই বিপাকে পড়েছে মার্কিন প্রশাসন। জরুরি অবস্থা জারি করেই এই অচলাবস্থা নিরসনের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হলেও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসবেন না।

গত ৫ জানুয়ারি ডেমোক্রেটিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। কিন্তু এরপরেও ট্রাম্প তার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াননি

অচলাবস্থা চলার মধ্যেই বৃহস্পতিবার টেক্সাসের রিও গ্রান্ডে ভ্যালির ম্যাকঅ্যালেনে একটি সীমান্ত টহল স্টেশন পরিদর্শনে যান ট্রাম্প।

সেখানে তিনি বলেন, দেয়াল নির্মাণের জন্য কংগ্রেস যদি অর্থ বরাদ্দ না দেয় তবে নিশ্চিতভাবেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবো।

তবে তার দাবি, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে চান না তিনি। তবে বাধ্য হলে তিনি এটি করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে বাজেট বরাদ্দ ইস্যুতে মতবিরোধের জের ধরে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।

৮ লাখ ফেডারেল কর্মী গত ২২ ডিসেম্বর থেকে কোনো বেতন পাচ্ছেন না। মেক্সিকোর সঙ্গে ‘নিরাপত্তা’ দেয়াল নির্মাণের জন্য ট্রাম্পের দাবি অনুসারে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে ডেমোক্র্যাটদের আপত্তি রয়েছে।

তবে ট্রাম্পও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার দাবি মতো অর্থ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো বাজেট প্রস্তাবে সই করবেন না। তবে কম যান না ডেমোক্রেটরাও। ১৩০ কোটি ডলারের চেয়ে এক পয়সাও বেশি দিতে সম্মত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

আপনার মতামত লিখুন :