সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথায় রাখুন এই কৌশলগুলো

সব মানুষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা আর বিচক্ষণতাই একজন মানুষের বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ দেয়। তাকে অন্যদের চাইতে আলাদা করে। পরিণত হিসেবে পরিচয় দেয়। তবে হ্যাঁ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দ্বিধায় আপনি ভুগতেই পারেন। বাড়ির কাছের কম বেতনের কাজটা করবেন, নাকি বাড়ি থেকে দূরের বেশি বেতনের কাজটি নেবেন? জীবনের এমন ছোট থেকে বড়- সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করুন এই সহজ কিছু কৌশল-
১। তালিকা তৈরি করুন
আপনার সামনে একের পর এক নতুন সব ব্যাপার আসতেই পারে। সুযোগ আর ক্ষেত্রগুলোকে তালিকাবদ্ধ করুন। আপনার তালিকার প্রথমে যেটি আসে সেটিকেই প্রাধান্য দিন। অবশ্য, অনেক ক্ষেত্রেই এই কাজটি করা কঠিন হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ মানুষই নিজের কোনটি করতে ভালোলাগে, আর কোনটি করতে অনেক বেশি ভালোলাগে- এই পার্থক্যটা করতে পারেন না। তবে আপনি তেমন কেউ না হলে এই পদ্ধটিটি চেষ্টা করে দেখতেই পারেন!
২। ফলাফল বিবেচনা করুন
যদি কোনো ব্যাপারে দ্বিধা কাজ করে, তাহলে সম্ভাব্য কাজগুলোর ফলাফল লিখে নিন। এতে করে খুব সহজেই কোন ব্যাপারটি ভবিষ্যতে ঘটুক বলে আপনি চান, আর কোনটা চান না তা বুঝতে পারবেন আপনি। সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও সহজ হয়ে যাবে।
৩। উচিত, চাওয়া এবং মূল্যবোধ
মানুষ মোট তিনটি ব্যাপারের ওপরে ভিত্তি করে নিজের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকে। প্রথমটি হলো উচিত। কোন কাজটি করা উচিত আর কোনটি করা উচিত না সেটা আমাদের শৈশব ও পরিবার শিক্ষা দিয়ে থাকে। এই যেমন- দূরের কোনো চাকরি নিয়ে গেলে পরিবারের কাছ থেকে দূরে চলে যাওয়া হবে। ব্যাপারটি ঠিক বা উচিত হবে না।
অন্যদিকে, আপনি যদি নিজের চাওয়ার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে দূরের চাকরিটি নিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর এই দুটোর মিলমিশ হিসেবে তৈরি হয় মূল্যবোধ।
এক্ষেত্রে, মানুষ অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয় না, আবার পুরোপুরি নিজের চাওয়াকেও বেছে নেয় না। এই দুটোকে মিলিয়ে কোনটি করা ঠিক হবে, নিজ থেকে তৈরি হওয়া অনুভূতি আর চিন্তাকে মানুষ মুল্যবোধের ক্ষেত্রে প্রকাশ করে।
৪। সবচাইতে খারাপ ফলাফল চিন্তা করা
আপনার কোনো সিদ্ধান্তের সবচাইতে খারাপ ফলাফল কী হতে পারে? উপরের উপায়গুলো অবলম্বন করা হয়ে গেলে এবার নিজের সিদ্ধান্তের সবচাইতে খারাপ ফলাফলটা চিন্তা করুন। এই ফলাফল আপনি মেনে নিতে পারবেন তো? এমন কিছু হলে আপনি কী করবেন তা জানা আছে? যদি আপনি নিজের সিদ্ধান্তের সবচাইতে খারাপ ফলাফলটিকেও গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকেন, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই কাজ করুন।
৫। মানসিকভাবে নিজেকে ভালো জানা
যদি আপনি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যেটা আপনাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, এই যেমন- ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে চলে আসা, সেক্ষেত্রে নিজেকে মানসিকভাবে সামলে নিতে পারবেন তো আপনি?
যদি সেটা সম্ভব হয়, তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য যেটা ভালো মনে হচ্ছে সেটাই করুন। মাথায় রাখুন যে, কেবল আপনি নন, আপনার যেকোনো সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হতে পারে আপনার চারপাশের মানুষগুলোও।
মানুষের একটি সিদ্ধান্তই তার ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে। মানুষের বর্তমান তার অতীত সিদ্ধান্তের ফলাফল। তাই খুব ভালোভাবে ভাবুন, সময় নিন। আপনি কী চান, অন্যরা কী চায়, কোন সিদ্ধান্ত আপনার জন্য সবচাইতে বেশি প্রভাব ব
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।