ধারাবাহিকভাবে কমছে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি

  প্রকাশিত হয়েছেঃ  12:27 AM, 03 January 2019

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। গত বছরের নভেম্বর শেষে এ ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক শূন্য এক শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তিন বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর এই প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। তখন ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এই ঋণ প্রবৃদ্ধি কমার জন্য সংশ্লিষ্টরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অবকাঠামো দুর্বলতা, সুদের উচ্চহার এবং গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটসহ নানা কারণকে দায়ী করছেন।

তারা বলেন, ব্যাংকগুলোতে ঋণে লাগাম টানতে গত বছরের জানুয়ারিতে ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) ও সুদহার কমানোর সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হওয়ার ফলে বেশ কিছুদিন ধরে ঋণ প্রবাহ কম রয়েছে। আর জাতীয় নির্বাচনের কারণে বড় বড় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে যায়নি, এ কারণে ঋণ প্রবাহ কমেছে। এছাড়া সুদের উচ্চহার, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট, অবকাঠামো সমস্যা, ব্যবসায়িক ব্যয় বাড়ানোসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ মন্দা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ছিল ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ, আগস্টে ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং জুলাইতে ছিল ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এ দিকে সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো নানা সুযোগ-সুবিধা নিলেও তার বাস্তবায়ন করেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশি-বিদেশি ২৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ডাবল ডিজিটের (১০ শতাংশের বেশি) ঋণের সুদ আদায় করছে ।

বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাঙ্ক্ষিত জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারে মুদ্রা ও ঋণ সরবরাহ সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা দিতে প্রতি ৬ মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :