রাত পোহালেই ভোট

  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:00 AM, 28 February 2019

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটি করপোরেশনের নতুন যুক্ত ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে।

নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের জন্য সকল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হলেও দুই সিটি করপোরেশনে নতুন সংযুক্ত ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটের ব্যালট পাঠানো হবে বৃহস্পতিবার সকালে। নিরাপত্তার স্বার্থেই ভোটের দিন ব্যালট পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় উত্তরার নবাব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। পরে বেলা ১১টায় গুলশানের মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভোট দেবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ।

দলীয় প্রতীকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ লড়ছেন লাঙল প্রতীক নিয়ে।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম টেবিল ঘড়ি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিসুর রহমান দেওয়ানের প্রতীক আম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির শাহীন খান বাঘ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটে প্রিসাইডিং অফিসার যদি মনে করে পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তিনি ভোট বন্ধ করে শুধু আমাদের জানাবেন। ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। আর যদি সামগ্রিকভাবে কোনো এলাকায় ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে রিটার্নিং অফিসার আমাদের কাছে অনুমতি চাইবে। পরে কমিশন যদি মনে করে গোটা এলাকায় ভোট বন্ধ করা দরকার, তাহলে কমিশন গোটা এলাকার ভোট বন্ধ করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরের উপনির্বাচন ও উত্তর-দক্ষিণের সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচনে ভোটারদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাই। এজেন্টদের নির্বাচন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করা ও ফলাফলের কপি নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানাই। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।’

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট ভোটার ৩০ লাখ সাড়ে ৩৫ হাজার। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ২৯৫টি। সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন এবং সাধারণ ১৮টি ওয়ার্ডে ১২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। এ সিটিতে ভোট কেন্দ্র এক হাজার ২৯৫টি ও ভোটকক্ষ ছয় হাজার ৪৮২টি। ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩০ জন ও নারী ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯১ জন। উত্তরে নতুন করে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডে ভোটার ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫ জন। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ছয়টি। এসব ওয়ার্ডে ভোটার চার লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ জন, পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯৭ জন ও নারী দুই লাখ ৪২ হাজার ২৩৮ জন। ভোট কেন্দ্র ২৩৫টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ২৫২।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সস্পন্ন করা হয়েছে। অবস্থা যদি অনুকূলে না থেকে প্রতিকূলে থাকে এবং কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করে দিব।’

উল্লেখ্য, আনিসুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদটি শূন্য হয় ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর। গত বছরের ৯ জানুয়ারি একদফা এ পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও সীমানা জটিলতায় এক বছরের জন্য আটকে যায় ভোট। আইনি জটিলতা নিরসনের পর গত মাসের ২২ তারিখ ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও উত্তর-দক্ষিণের সংযুক্ত ৩৬ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :