ভালোবাসা দিবসে সঙ্গীকে কেন বই উপহার দেবেন?

  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:28 AM, 09 February 2019

ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ইংরেজিতে যাকে ভ্যালেন্টাইনস ডে বলা হয়। এই দিনে বাবা-মা, ভাইবোন, বন্ধু, স্বজন ও প্রিয়জন একে অন্যকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তবে সঙ্গীর সঙ্গে ভালোবাসাটা এই দিনে একটু আলাদা। প্রত্যেকের জন্য উপহার কিনুন। দিনটি পালন করুন নিজের মতো করে।

ভ্যালেন্টাইনস ডে আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। তাই দিনটি কীভাবে কাটাবেন প্রিয় সঙ্গীর জন্য, কি উপহার কিনবেন তা ঠিক করে রাখতে পারেন।

যেভাবে এলো ভ্যালেন্টাইনস ডে

২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন’স নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রি ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দি করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দি অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন’স স্মরণে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস দিবস ঘোষণা করেন।

ভালোবাসার লাল গোলাপ

ভালোবাসা দিবসে সঙ্গীর জন্য কিনতে পারেন লাল গোলাপ। ভালোবাসার উপহার হিসেবে লাল গোলাপের জুড়ি নেই। ভালোবাসা দিবসে প্রিয় সঙ্গীকে লাল গোলাপ উপহার দিন। লাল গোলাপে লেগে থাকা আপনার ভালোবাসা প্রিয়জনকে আরও কাছে টানবে।

চকলেট

চকলেট আমাদের ছোট-বড় সবারই প্রিয়। ভালোবাসা দিবসে সবাইকে চকলেট উপহার দিতে পারেন। যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য মিষ্টি চকলেট আর যারা কম মিষ্টি পছন্দ তাদের জন্য কিনতে পারেন ডার্ক চকলেট।

বই উপহার দিন

বই মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সঙ্গী। বই মানুষকে হাসায়, কাঁদায় এবং আনন্দ দেয়। এ ছাড়া বইপড়া মানুষের জ্ঞানের রাজ্যে স্বাগতম জানায়। এই জ্ঞান তার পারিবারিক জীবন থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্র তার জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।

ফেব্রুয়ারি যেহেতু অমর একুশে বইমেলা। তাই প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে বইমেলায় যান, আর প্রিয় বই উপহার দিন। এ ছাড়া ভালোবাসার ছোট গল্প, উপন্যাস ও কবিতার বই উপহার দিন, যা স্মৃতি হয়ে থাকবে।।

কেন বই উপহার দেবেন?

বই যেমন মানুষকে জ্ঞান দান করে, আবার প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা বাড়ায়। রাগ, অভিমান সব কিছুর মধ্যে একজন মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে চলতে সাহায্যে করে। এ ছাড়া বইপড়া মানুষের আচরণ খুবই শুভ্র হয়, যা তার পার্থিব জীবনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে।

ভালো শ্রোতা ও ধৈর্যশীল

বইপড়া মানুষেরা খুব ভালো শ্রোতা হয়। তাদের কথা বলা ও শোনার ধৈর্য অন্য মানুষের চেয়ে বেশি থাকে। এ ছাড়া তারা যে কোনো সমস্যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান বের করে দিতে পারে। তাই প্রিয়জনকে বই উপহার দিন।

জ্ঞানের ভাণ্ডার

প্রিয়জনকে বই উপহার দিলে তার জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে। তার সঙ্গে যে কোনো সমস্যায় অর্থপূর্ণ আলোচনা হবে।

জীবন সাজানো

বইপড়া মানুষেরা নিজের মতো থাকতে পছন্দ করেন। তারা ঘর থেকে শুরু করে কর্মজীবনেও খুব গোছানো মানুষ হন।

প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :