নাম যদিও বেগুন, আছে তার অনেক গুণাগুণ

  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:56 PM, 14 November 2018

বেগুন একটি মৌষমি সবজি। এটি সাধারণত শীতের সময়ে বেশি পাওয়া যায়। বেগুন সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি। সহজলভ্য ও সারা বছরই মেলে এটি। মধ্য যুগে ইউরোপে যেসব বেগুন পাওয়া যেত সেগুলোর আকৃতি অনেকটাই মুরগির ডিমের মতো ছিল।

এ কারণেই বোধ হয় ইংরেজিতে বেগুনের নাম এগপ্ল্যান্ট। খোসাসহ বেগুন অনেক সময় তেতো স্বাদের হয়। এর কারণ, এর বয়সকাল অর্থাৎ খুব বড় হয়ে যাওয়া।

তাই তাজা, টাটকা এবং কচি বেগুন খাওয়া ভালো। এতে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দুটোই ঠিক থাকে। উল্লেখ্য, বেগুনের ত্বক পুষ্টি উপাদানের একটি ভালো উৎস। তাই বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে রান্না করা উচিত নয়। সুস্বাদু এই সবজিটির রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি-

বেগুনে উপস্থিত ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ফ্লেবোনয়েড কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি-

বেগুনে থাকা ফটোনিউট্রিয়েন্ট সেল মেমব্রেনকে নানা রকম আঘাত থেকে রক্ষা করে। ফলে মস্তিষ্কের ভিতরে থাকা হাজারো নিউরো সেলের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। যার ফলে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধি বাড়ে।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়-

বেগুনে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার কারণে এই সবজিটি খাওয়া শুরু করলে স্কাল্পে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়ে ওঠে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ-

আমাদের ওজন কমাতে কিন্তু দারুন ভাবে সাহায্য করে বেগুন। সবজিটিতে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাওয়ার অভ্যাস কমতে শুরু করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে-

বেগুনে রয়েছে পটাশিয়ামসহ একাধিক উপকারি খনিজ, যা শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে লবণের পরিমানও স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে থাকে। ফলে কোনো ভাবেই ব্লাড প্রেসার বাড়ার সুযোগ পায় না।

আপনার মতামত লিখুন :