চা বিক্রি করেই ২৩ দেশে ভ্রমণ!

  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:31 PM, 11 January 2019

পৃথিবী ঘুরে দেখার স্বপ্ন কার না আছে! তবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য দেশে পা ফেলতে হতে হবে ধনী কিংবা বড় কোনো কর্মকর্তা। তা হলেই দেশের বাইরে পা ফেলার সৌভাগ্য জুটবে কপালে। এমনটি ধারণা প্রায় অনেকের।

কিন্তু সেই চিরাচরিত ধারণাকে পাল্টে দিলেন ভারতের কোচির বিজয়ন নামে ৭০ বছর বয়স্ক এক চা বিক্রেতা। শুধু চা বিক্রি করেই সস্ত্রীক তিনি ঘুরে এলেন বিশ্বের বহু দেশ।

তালিকা থেকে বাদ যায়নি সিঙ্গাপুর, আর্জেন্টিনা ও পেরু। ভূস্বর্গ সুইজারল্যান্ডের নৈস্বর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেও সচোখে অনুভব করে এসেছেন এ চা বিক্রেতা।

প্রায় ২৩ দেশ ঘুরে ফেলেছেন তারা ইতিমধ্যে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি আলোড়ন তুলেছে। এ দম্পতি এখন রীতিমতো সেলিব্রেটি।

জানা গেছে, ১৯৬৩ সাল থেকে চা বিক্রি করছেন বিজয়ন ও তার স্ত্রী মোহনা।

বিগত ৫০ বছর ধরে কোচিতে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে তাদের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, প্রথমে কোচির রাস্তায় রাস্তায় চা বিক্রি করতেন বিজয়ন। চা বিক্রির কাটতি বেড়ে যাওয়ায় তিনি কোচিতে চায়ের দোকান খোলেন।

এ বিষয়ে বিজয়ন বলেন, ইতিমধ্যে সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, পেরু, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, আমেরিকাসহ ২৩ দেশ ঘুরেছি আমরা।

সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও এসব দেশে যাওয়া হয়নি আমাদের। এবার সে উদ্দেশেই টাকা জমাচ্ছি। আর সেই স্বপ্ন পূরণ করবে এই চায়ের দোকান বলে হেসে দেন বিজয়ন।

এত ছোট দোকানের আয়ে এত দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কীভাবে সেই প্রশ্নে বিজয়ন জানান, আমার দোকানে রোজ ৩০০-৩৫০ গ্রাহক আসেন।

শুধু বিদেশ ভ্রমণ খাতে দৈনিক ৩০০ টাকা করে জমিয়ে বছরে এক লাখ টাকা সঞ্চয় করেন বলে জানান বিজয়ন।

একেবারেই মিতব্যয়ী বিজয়ন। টাকা বাঁচাতে দোকানে রাখেন না কোনো কর্মচারী।

তবু জমানো টাকা কম পড়ে গেলে বাকিটা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হলেও বিদেশে পাড়ি দেন বলে জানান তিনি।

ভ্রমণ শেষে ভারতে ফিরে এসে তিন বছর ধরে ব্যাংকঋণ পরিশোধ করেন। এর পর আবার শুরু হয় তাদের সঞ্চয় কার্যক্রম। এভাবেই ২৩ দেশ ঘুরেছেন এ দম্পতি।

প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন অনলাইন প্রতিনিধি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :