এখনই সেনা মোতায়েন চায় ঐক্যফ্রন্ট

  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:17 PM, 13 December 2018

‘পুলিশি হয়রানি, গ্রেফতার ও নির্যাতনরোধে’ এই মুহূর্তেই সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

জোটের নেতারা বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে এসে এমন দাবি জানান। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের নেতৃত্ব জোট নেতাদের মধ্যে দলটির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। প্রায় ২৫ মিনিট তাদের বসিয়ে রেখে নির্বাচন কমিশন সাক্ষাৎ করেনি অভিযোগ তুলে এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

আলাল বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এসেছি। নির্বাচন কমিশন আগে বলেছিল ১৫ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন করবে। এরপর বলল ২৪ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন করবে। আজ বলছে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু পুলিশ আমাদের ধরছে, পেটাচ্ছে ও গ্রেফতার করছে, তাই আমরা চাই এই মুহূর্তে সেনা নামানো হোক।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যত সময় গড়াচ্ছে, আমরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছি। তাই আমাদের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীকে মাঠে নামানো হবে বলে এরই মধ্যে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ছোট টিম ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকায় রেকি করবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠক শেষে কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। আগের সিদ্ধান্তই রয়েছে।

বৈঠকের কার্যক্রম ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ইতোপূর্বে পাঠানো চিঠিতে নির্বাচন কমিশন বলেছেন, ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সেনা মোতায়েন করা হবে। তারা নির্বাচনী এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।

পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও গ্রাম পুলিশ মিলিয়ে ৬ লক্ষাধিক ফোর্স এবারের নির্বাচনে মোতায়েন থাকবে বলেও জানানো হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে।

গত ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর এ পর্যন্ত সহিংসতায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট বারবার অভিযোগ করে আসছে, তাদের নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :