পিরিয়ডে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা ভালো
পিরিয়ডের সময় মেয়েদের একটু বেশি সতর্ক হয়ে চলতে হয়। হাঁটাচলা থেকে শুরু করে খাবার খাওয়ার পর্যন্ত নিয়ম মেনে ভালো। এই সময় কী ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে, তার উপর শরীরের ভালো-মন্দ অনেকাংশেই নির্ভর করে।
পিরিয়ড কি?
প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মাসিক চলাকালীন পেট ব্যথা, পিঠ ব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে। আর এই মাসিক ঋতুচক্র প্রতি মাসে হয়। এটাই হচ্ছে পিরিয়ড।
দুধ ও দই
পিরিয়ড হলে দুধ, চিজ বা দইয়ের মতো ডেইরি প্রডাক্ট বেশি মাত্রায় খাওয়া যাবে না। এসব খাবার বেশি খেলে হরমোনের ক্ষরণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে শারীরিক কষ্ট মাত্রা ছাড়াতে সময় লাগে না। তাই দুধ এবং তা থেকে বানানো খাবার এড়িয়ে চলুন।
জাঙ্ক ফুড
জাঙ্ক ফুড খাওয়া শরীরের জন্য ভাল নয়।পিরিয়ডের সময় ফ্রায়েড খাবার খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
লবণ
বেশি মাত্রায় লবণ রয়েছে এমন খাবার পিরিয়ডের সময় খাওয়া যাবে না। লবণ জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে পিরিয়ডকালীন কষ্ট আরো বেড়ে যায়।
শসা
শসা খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। শসায় উপস্থিত কিছু উপাদান এই সময় শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
কোল্ড ড্রিঙ্ক
পিরিয়ডের সময় কোল্ড ড্রিঙ্ক একেবারে খাবেন না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময় এই ধরনের পানীয় খেলে ইউটেরাইন ওয়ালে রক্ত থেকে যায়। এমনটা হতে থাকলে ৫-১০ বছর পরে গিয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়।
শরীরচর্চা
এই সময় ইনটেন্স ওয়ার্কআউট করা একেবারেই চলবে না। আর যদি পেটে এবং পিঠে ব্যথা থাকে, তাহলে তো একেবারেই শরীরচর্চা করা যাবে না।
এছাড়া ঘুম না হওয়ার কারণে ক্লান্তিভাব এতটাই বেড়ে যায় যে দৈনন্দিন কাজ কর্মেও বাঁধা আসতে শুরু করে। তাই পিরিয়ডের সময় রাত জাগা একেবারেই চলবে না।