দেশে গাড়ি-মোটরসাইকেল তৈরিতে উৎসাহ দেবে এনবিআর
আসছে বাজেটে দেশে গাড়ি ও মোটরসাইকেল উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। একই সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবি বিবেচনারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এনবিআরের কনফারেন্স কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় মোটরসাইকেল ম্যানুফেকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা, বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গত ১০-১২ বছর আগে থেকে মোটরসাইকেল সেক্টরের যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে আমারা যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছি। এখন রানার মোটরসাইকেল তৈরি করছে। হিরো, হোন্ডা এবং বাজাজ নিজেরা তৈরি করা শুরু করছে। ফলে আমাদের দেশে তৈরি মোটরসাইকেল দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করতে পারবে। তাতে মোটরসাইকেলের বাজার বাড়বে। বিদেশে বাজার তৈরিতে আমরা উৎসাহ দেবো।
মোটর সাইকেলের পাশাপাশি দেশে গাড়ি তৈরিতে উৎসাহিত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে যেভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা করছি। যারা গাড়ি তৈরিতে এগিয়ে আসবে, তারা এ সুযোগটা পাবে বলে আশা করছি।
মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ দেশেই তৈরি হচ্ছে। ঠিক সেইভাবে গাড়িও তৈরি হবে। আমার ধারণা, গাড়ি তৈরি শিগিরই শুরু হবে। মেইড ইন বাংলাদেশ নামে শুরু হবে। ওয়ার্কশপগুলো টিকে থাকা দরকার। তাদের দু-তিনটি দাবি রয়েছে সেগুলো দেখা দরকার।
এভিয়েশন সেক্টরের দাবির প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান বলেন, এভিয়েশন সেক্টর ফুয়েল (জ্বালানি) নিয়ে বেশি সমস্যায় আছে। আমরা তাদের কোনো না কোনো জায়গায় যদি সহায়তা না করি তাহলে এটা টিকবে না। তাদের অনেকে ভ্যাট পরিশোধ করতে পারেছ না।
অসম প্রতিযোগিতার কারণে অনেকেই ঠিকে থাকতে পারছে না। ট্রেন-বাসের চেয়ে বিমানে একটু ভাড়াতো বেশি লাগবেই, যোগ করেন তিনি।
জাহাজ মালিক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাহাজ নির্মাণে আমরা এগিয়ে গেছি। এ খাতেও অনেক প্রণোদনা দিয়েছি। কিন্তু কথা হচ্ছে ঠিকানা বিহীন কিছু প্রতিষ্ঠান জাহাজ তৈরি করে বিক্রি করছে। আমারা তাতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছি। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আজ সেক্টরগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি। সব সেক্টর থেকে যদি আমরা সঠিকভাবে ভ্যাট পাই। তাহলে ভ্যাটের পরিমাণ বাড়বে। সেই বিষয়টি লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করবো আমরা। আর ব্যবসা যাতে ঠিকমতো চলে সে বিষয়টি খেয়াল রাখবো।
প্রিয় পাঠক, আপনিও হতে পারেন আওয়ার বাংলা অনলাইনের একজন সক্রিয় অনলাইন প্রতিনিধি। আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অপরাধ, সংবাদ নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুনঃ [email protected] এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।