গরমে হতে পারে হিট স্ট্রোক
ঘর থেকে জরুরী কাজে বের হয়েছিল সুমন। জ্যাম আর অতিরিক্ত গরমে একসময় অস্বস্তি লাগতে শুরু করে। সেসঙ্গে শুরু হয় মাথা ঘোরানো। এরপর তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেন হাসপাতালের বিছানায়। জানতে পারেন বাসে জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি। মূলত তিনি হিট স্ট্রোক করেছেন।
বৈশাখ মাস আসতে না আসতেই সূর্য তার রাজত্ব শুরু করে দিয়েছে। অতিরিক্ত গরমে এরই মধ্যে সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। গরমের কারণে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো হিট স্ট্রোক। এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত সবার।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ-
● হুট করে কি আপনার শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে? তবে দ্রুত ছায়া বা বাতাসের কাছাকাছি যান। কারণ এটি হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ।
● হিট স্ট্রোকের পূর্বে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়।
● রক্তচাপ সময়ের সাথে কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে। তবে হঠাৎ করেই যদি তা অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায় তবে সতর্ক হোন। হিট স্ট্রোকের পূর্বে এমনটা হয়ে থাকে।
● হিট স্ট্রোকের সময় শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় অনেকখানি।
● এ সময় নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়ে যায়।
● হিট স্ট্রোকের একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো মাথা ঝিম ধরা। পাশাপাশি শরীরে দেখা দিতে পারে খিঁচুনি।
● এ সময় বমি বমি ভাব দেখা দেয়। অনেকের বমিও হতে পারে।
● হিট স্ট্রোকের পূর্বে দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। এ সময় শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে।
আপনার করণীয়-
● হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে নির্বাচন করুন সাদা কিংবা অন্য কোনো হালকা রং। এসময় সুতি পোশাক পরাই উত্তম।
● অতিরিক্ত প্রয়োজন না হলে খুব বেশি রোদে বের না হওয়াই ভালো।
● বাইরে বের হলে সঙ্গে রাখুন টুপ, ক্যাপ কিংবা ছাতা।
● প্রচুর পরিমাণে পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন।
● প্রতিদিন পরিমিত ঘুমের অভ্যাস করুন। ঘুমে অনিয়ম মানুষকে সহজে অসুস্থ করে দেয়।
এই গরমে নিজের খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত রোদে বেশিক্ষণ না থেকে ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন। হিট স্ট্রোকের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হোন।